শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৪৬ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
ক্যাপিটলকাণ্ডের পটভূমি তৈরি, বন্ধ ৭০ হাজার টুইটার একাউন্ট

ক্যাপিটলকাণ্ডের পটভূমি তৈরি, বন্ধ ৭০ হাজার টুইটার একাউন্ট

স্বদেশ ডেস্ক: সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ডনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থনে ক্যাপিটল বিল্ডিংয়ে হামলা চালানোর ষড়যন্ত্র করেছিল। এই অভিযোগে ৭০ হাজার একাউন্ট বন্ধ করল টুইটার। একটি ব্লগের মাধ্যমে একথা ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। ওয়াশিংটন পোস্টের খবর অনুসারে, ওই একাউন্টগুলির মাধ্যমে গত সপ্তাহে ক্যাপিটল হামলার পটভূমি তৈরি করা হয়েছে বলেও অভিযোগ জানিয়েছে টুইটার কর্তৃপক্ষ।
এবিষয়ে তারা অভিযোগ করেছে, ওয়াশিংটন ডিসিতে যে হিংসাত্মক ঘটনা ঘটেছে তার পেছনে ওই টুইটার একাউন্টগুলির যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। এমনকি গত শুক্রবার থেকে আমেরিকার বিভিন্ন প্রান্তে যে হিংসা ছড়ানোর চেষ্টা হচ্ছে এর জন্য পাকাপাকিভাবে এখন পর্যন্ত ৭০ হাজারের বেশি টুইটার একাউন্ট বন্ধ করা হয়েছে। এদিকে ডনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্টের অভিযোগ আনতে বদ্ধপরিকর হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি। মার্কিন ক্যাবিনেট ও বিদায়ী ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সকে তিনি চাপ দিচ্ছেন, সাংবিধানিক শক্তি প্রয়োগ করে ট্রাম্পকে পদচ্যুত করতে।

পেলোসির বক্তব্য, ক্যাপিটল কাণ্ডের পরে স্পষ্ট হয়ে গেছে যে, গণতন্ত্রের প্রতি অত্যন্ত বিপজ্জনক ট্রাম্প। তার জেরে হাউসে ডেমোক্রেটরা ট্রাম্পকে বরখাস্ত করতে প্রস্তাব পেশ করেছেন। ক্যাপিটল কাণ্ডে তার বিরুদ্ধে ‘বিদ্রোহে প্ররোচনা’ দেয়ার অভিযোগ এনেছেন তারা। তাদের দাবি, হামলার আগেই একটি সভায় ভাষণ দেন ট্রাম্প। তারই জেরে তার সমর্থকরা উত্তেজিত হয়ে ক্যাপিটলে হিংসা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেন। তাই ট্রাম্পকে সরাতে বদ্ধপরিকর পেলোসি। সহকর্মীদের পাঠানো একটি চিঠিতে তিনি লিখেছেন, প্রথমে ভোটের মাধ্যমে ঠিক করতে হবে যে, পেন্সকে ২৫তম সংশোধনী প্রয়োগ করে ট্রাম্পকে সরতে বলা হবে কি না। তা না হলে চব্বিশ ঘণ্টা পরে ট্রাম্পের ইমপিচমেন্ট নিয়ে আইনি পথে যাবে মার্কিন হাউস।

এদিকে, ট্রাম্পের পদত্যাগের দাবিও জোরদার হচ্ছে। দু’জন রিপাবলিকান সেনেটর বলেছেন, ক্যাপিটল তাণ্ডবের জেরে ট্রাম্পের এখনই পদত্যাগ করা উচিত। এরা পেনসিলভেনিয়ার প্যাট টুমি এবং আলাস্কার লিসা মুর্কোস্কি। মার্কিন আইনপ্রণেতাদের অনেকের মতে, ট্রাম্পের প্রশাসনে প্রত্যাবর্তনের ওপরেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা উচিত। ক্যাপিটল কাণ্ডের জেরে ব্লু ক্রস, সিটিগ্রুপের মতো কর্পোরেট সংস্থা রিপাবলিকানদের আর্থিক সাহায্য বন্ধ করে দিচ্ছে। অন্যদিকে, প্রেসিডেন্ট হিসাবে তার শেষ দিন কাদের ক্ষমা করবেন, সেই তালিকা চূড়ান্ত করে ফেলেছেন ট্রাম্প।
সূত্রের খবর, নিজেকেও ক্ষমাপ্রাপ্তের তালিকায় রাখতে পারেন তিনি। এছাড়া তালিকায় আছেন হোয়াইট হাউসের কয়েকজন সিনিয়র কর্মী, ট্রাম্প পরিবারের সদস্য এবং বিখ্যাত র্যা প তারকারা। তবে ট্রাম্প নিজেই নিজেকে ক্ষমা করতে পারেন কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। এমন পদক্ষেপ তার রাজনীতিতে ফেরাও কঠিন করে দিতে পারে। কারণ এতে ট্রাম্প প্রচ্ছন্ন ইঙ্গিত দেবেন যে, তিনি অপরাধী। হোয়াইট হাউস ওয়েবসাইটে মেলানিয়া ট্রাম্প লেখেন, ক্যাপিটল কাণ্ডে তিনি হতাশ এবং দুঃখিত। ‘এই দুঃখজনক ঘটনার প্রেক্ষিতে আমাকে ঘিরে গুজব রটছে। আমাকে আক্রমণ করা হচ্ছে। এই সময়টা আমাদের দেশ ও নাগরিকদের নিরাময়ের সময়। এটাকে ব্যক্তিগত লাভের জন্য যেন ব্যবহার না করা হয়।’

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877